Description
সরিষা থেকে তৈরি হয় সরিষার খৈল।এটি বিভিন্ন পশুপাখির ও মাছের খাবার হিসাবে ব্যাবহার করা হয়।এ ছাড়াও সরিষার খৈল যেকোন উদ্ভিদএর জন্য একটি উৎকৃষ্ট মানের জৈব সার।এই খৈল গাছে বিভিন্ন ভাবে ব্যবহার করা যায়।এখানে তিন ধরনের ব্যবহারের বিস্তারিত দেওয়া হলঃ
সরাসরি সার হিসেবে ব্যবহারঃ
প্রথমে সরিষার খৈল ভালভাবে গুড়ো করে নিতে হবে।এর পর যে গাছে প্রয়োগ করা হবে তার চারপাশের মাটি নিড়ানি দিয়ে অল্প পরিয়ামাণে খুঁড়ে ঝুরঝুরে করে নিতে হবে।এরপর পরিমান মত সরিষার খৈল চারপাশ দিয়ে মাটি দিয়ে ঢেকে দিতে হবে।ছোট গাছের ক্ষেত্রে গাছের গোড়া থেকে ৩০ সেমি দূরে এবং বড় গাছের ক্ষেত্রে ৫০ সেমি দূর দিয়ে এই সার দিতে হবে।টবের ক্ষেত্রে টবের কিনার দিয়ে দিতে হবে।টবের ক্ষেত্রে টবের ধরন অনুযায়ী ১ থেকে ৩ চামচ পরিমাণে মাসে একবার দেয়া ভাল।
মাটির সাথে মিশিয়ে জৈব সারঃ
প্রথমে পরিমাণ মত মাটি গুঁড়ো করে নিতে হবে যেন কোন ময়লা ও আবরজনা না থকে।এরপর যে পরিমাণ মাটি তার সমপরিমাণ খৈল গুড়া করে নিতে হবে।যেমন ১ কেজি মাটি থাকলে ১ কেজি খৈল।এরপর এই মিশ্রণটি ৭ থেকে ১০ দিন রোদে শুকাতে হবে।এরপর তৈরি জৈব সার যেকোন গাছে পরিমাণমত ব্যবহার করতে হবে।যেমন মাঝারি মানের কোন টবে ১ মুঠো সার ব্যবহার করতে হবে।এই সার ভালভাবে সংরক্ষণ করে পরবর্তীতে ও ব্যাবহার করা যায়।
পানির সাথে মিশিয়ে তরল জৈব সারঃ
এই পদ্ধতিটি ব্যবহার সহজ ও ঝামেলা বিহীন হওয়াই অনেকেই পদ্ধতিটি ব্যবহার করেন।এর জন্য প্রথমে সরিষার খৈল ১ এবং পানি ২ এই অনুপাতে মিশানো লাগবে।যেমন ১০০ গ্রাম সরিষার খৈল এর সাথে ২ লিটার পানি।এর পর মিশ্রণটি ১ দিন পর থেকে ৭ দিন পর্যন্ত ব্যবহার করা যায়।তবে ২ থেকে ৩ দিন এর মধ্যে ব্যবহার করা ভাল।মিশ্রণ থেকে পানি ভাল ভাবে ছেঁকে নিয়ে অবশিষ্ট খৈল রোদে মাটির সাথে মিশিয়ে জৈব সার হিসাবে ব্যাবহার করা যায়।
Français
Deutsch
Pусский
